ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হার্ভার্ড
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে এক উত্তপ্ত সংঘাতের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যেটিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবার সরাসরি ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোটি কোটি ডলারের সরকারি অনুদান আটকে দেওয়ার ঘটনায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একাডেমিক স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার একটি জোরালো বার্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফেডারেল কোর্টে মামলা করেছে। মামলায় বলা হয়েছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে তাদের ২.২ বিলিয়ন ডলারের তহবিল আটকে দেওয়া হয়েছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার এক ঘোষণায় বলেন—
“আমরা ট্রাম্প প্রশাসনের বেআইনি দাবি মেনে নিইনি। ফলস্বরূপ, তারা প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতির কারণ হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “এই অর্থহীন হস্তক্ষেপ গবেষণার ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। শিশুদের ক্যান্সার গবেষণা, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং আহত সেনাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো ঝুঁকিতে পড়েছে।”
🏛️ মামলার বিষয়বস্তু:
- সরকারি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ: শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিচার বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ এবং জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
- তহবিল আটকের কারণ: হার্ভার্ডের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের ঘটনায় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করা।
হার্ভার্ডের দাবি, এই তহবিল আটকে প্রশাসন চায় যে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের একাডেমিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি হস্তক্ষেপ মেনে নেবে। এটি একাডেমিক স্বাধীনতার ওপর রাজনৈতিক চাপ হিসেবে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Associated Press (AP) জানিয়েছে, বোস্টনের ফেডারেল কোর্টে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে—
“সরকার এখনো কোনো যৌক্তিক ভিত্তিতে ইহুদি-বিদ্বেষ, মেডিকেল গবেষণা, বা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত তহবিল আটকে রাখার কারণ দেখাতে পারেনি।”